এ বয়সে সবাই যখন ঘরে বসে সময় কাটান তখন তিনি ‘সবজির ফার্ম’ করে পরিবারের খরচ বহন করছেন। সবজি চাষ করে এখন তিনি অনেকটাই স্বাবলম্বী।
সরেজমিন কালাচাঁদের সবজি ক্ষেত ঘুরে তার সাথে আলাপকালে তিনি জানান, গত জ্যৈষ্ঠ মাসের শেষের দিকে শহরের একটি পরিচিত হাইব্রিড সবজি বীজের দোকান থেকে ঢেঁড়শ, ঝিঙা, কলমি শাক ও পুঁই শাকের চার প্রকার সবজির বীজ আনেন। স্থানীয় শহীদ ভূঁইয়ার কাছ থেকে ৫০ শতাংশ জমি বাৎসরিক লিজ নিয়ে চারটি প্লটে ভাগ করে বীজগুলো রোপন করেন।
রোপনের পর জমিতে নিয়মিত সেচ ও জৈব সার ব্যবহার করা হয়। এতে অল্প দিনে পুঁই ও কলমি শাক বাজারে বিক্রির উপযুক্ত হয় এবং ঢেঁড়শ ও ঝিঙা গাছে ফুল দেয়া শুরু করে। এর দুই সপ্তাহের মধ্যে ফল ধরা শুরু করে।
তিনি জানান, আগাম তরকারি বাজারে আনতে পারায় দামও ভালো পাওয়া যায়। পুঁই শাক প্রতি কেজি ৪০ টাকা, কলমি শাকের আঁটি ১০ টাকা, ঢেঁড়শ ৭০ টাকা ও ঝিঙা ৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করেন তিনি। নিজের ভ্যানে করে মাদারীপুর শহরের কাজির মোড়, মুচি বাড়ির মোড়সহ বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে প্রতিদিন ২-৩ হাজার টাকা পর্যন্ত সবজি বিক্রি করেন।
সবজি চাষি কালাচাঁদ বলেন, ‘বিগত তিন মাসে চার ধরনের সবজি বাজারে বেঁচে খরচ বাদে প্রায় ৭০ হাজার টাকা লাভ করেছি। লাভের টাকা দিয়ে স্থানীয় ২টি পুকুরে মাছের চাষ শুরু করেছি। এবং ছোট ছেলেকে একটি ঘর তুলে দিয়েছি।’
এ ব্যাপারে এলাকার সমাজ সেবক পুরান বাজারের বড় ব্যবসায়ী টুম্পা ইলেকট্রনিকসের মালিক রাজন মাহমুদ বলেন, কালাচাঁদের সবজি ফার্ম আমাদের দোকানের খুব কাছাকাছি। তার শাক সবজি তরতাজা থাকার কারণে সবাই পছন্দ করে।
এলাকার পৌর কমিশনার আক্তার হোসেন হাওলাদার বলেন, কালাচাঁদের সবজিতে কোনো রাসায়নিক সার না দেয়ায় বাজারে এর চাহিদাও বেশি।